পরিচয়:
আল ইসলামি খেলাফত বাংলাদেশের একটি ইসলামপন্থী রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশে ইসলামী শরিয়াহ আইন বাস্তবায়ন এই দলের উদ্দেশ্য। দলটি ইকামতে দ্বীন (ধর্ম প্রতিষ্ঠা) নামক মতাদর্শকে মূলভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করে এবং একে "রাষ্ট্রক্ষমতা লাভের মাধ্যমে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা" অর্থে দলীয় ও রাজনৈতিকভাবে ব্যাখ্যা করে থাকে। এটি আল ইসলামি পার্টির একটি শাখা এবং তা মুসলিম ও ইসলামের সঠিক দিন এর আদর্শ ধারণ করে। ২০২৩ সালের ৯ এ জুন এ প্রতিষ্ঠা করা হয় বলে জানা যায়।
নীতি ও আদর্শ:
- পবিত্র কুরআন ও আল্লাহর রাসুল মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সুন্নাহ তথা কর্মনীতিই আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের মূল আদর্শ।
- কুরআন-সুন্নাহকে সালাফে সালিহীনের ব্যাখ্যার আলোকে গ্রহণ করা।
- আহলুস-সুন্নাহ ওয়াল-জামা‘আহর আক্বীদা ও দৃষ্টিভঙ্গি লালন করা।
- শিরকমুক্ত ঈমান ও বিদ‘আতমুক্ত আমলের প্রতি আহ্বান করা।
- উম্মাহর ঐক্য ও সংহতির জন্যে কাজ করা।
- মতপার্থক্যপূর্ণ বিষয়ে যথাসম্ভব প্রান্তিকতা পরিহার করে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা।
- রাজনৈতিক কর্ম ও অবস্থান গ্রহণ থেকে বিরত থাকা এবং দলমত নির্বিশেষে সকলের বৃহত্তর কল্যাণে কাজ করে যাওয়া।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য:
রাসূলুল্লাহ (সাল্লালহু আলইহি ওয়া সাল্লাম)-এর জীবনাদর্শের আলোকে
- (ক) দেশজুড়ে, বিশেষত সমাজের তুলনামূলক উপেক্ষিত অংশে প্রাতিষ্ঠানিক ও উপ-প্রাতিষ্ঠানিকভাবে ইসলামী ও সাধারণ শিক্ষা-দীক্ষা ও কর্মমুখী বৈষয়িক প্রশিক্ষণের উদ্যোগ
- (খ) আর্তমানবতার সেবা এবং
- (গ) সৎকাজে উৎসাহ দান ও অসৎকাজ নিবারণে দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনই আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের লক্ষ্য।
ইক্বামাতে দ্বীনের দায়িত্ব:
আল্লাহ্ তা’আলা তাঁর রাসূল হযরত মুহাম্মাদ (সা.) কে মূলত যে কাজটি করার জন্য দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন তা কুরআনের তিনটি সূরায় স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করেছেন :
“তিনিই সে মহান সত্তা (আল্লাহ) যিনি তাঁর রাসূলকে হিদায়াত ও আনুগত্যের একমাত্র সত্য বিধান (দ্বীনে হক) সহ পাঠিয়েছেন, যেন (রাসূল) তাকে (ঐ বিধানকে) আর সব বিধানের উপর বিজয়ী করেন।”
(সূরা আত্ তাওবা : ৩৩, সূরা আল ফাত্হ : ২৮, সূরা আস সাফ : ৯)
রাসূল (সা.) আল্লাহ্র দ্বীনকে কায়েম করেই এ দায়িত্ব পালন করেছেন। ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র, আইন, শাসন, বিচার, ব্যবসা-বাণিজ্য ইত্যাদি সব ক্ষেত্রেই তিনি আল্লাহ্র বিধানকে চালু করে প্রমাণ করেছে যে, ইসলামই দুনিয়ার জীবনে শান্তির একমাত্র উপায়। তাই দ্বীন ইসলাম কায়েমের দায়িত্ব পালন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সাহাবায়ে কিরামও রাসূল (সা.)-এর সাথে এ দায়িত্বই পালন করেছেন। মুসলিম হিসেবে আমাদের সবারই এ দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করা কর্তব্য। এ দায়িত্ব অবহেলা করে আল্লাহ্র সন্তুষ্টি হাসিল করা কিছুতেই সম্ভব নয়।
